Friday, December 6, 2024

জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪, যাওয়ার উপায়, খরচ,ও ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে যত ধরনের তথ্য রয়েছে সব তথ্য এখানে প্রকাশ করা হবে। আপনি যদি জার্মানিতে কাজের ভিসার উদ্দেশ্যেই যেতে ইচ্ছুক হন তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক উপকারে আসতে পারে। তাই দেরি না করে নিচের সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তালিকায়  রয়েছে শক্তিশালী রাষ্ট্র জার্মানি। এই দেশে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সমস্ত বহিরাগত শ্রমিক দ্বারা সেই দেশের অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন কলকারখানার চালু করা হয়। কিভাবে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে একটি কাজের ভিসা সহজে পাবেন এবং কত টাকা খরচ হতে পারে এ বিষয়ে জানতে নিজের আর্টিকেলটি পড়ুন।

জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার কাজের ভিসা চালু রয়েছে। যারা যেতে ইচ্ছুক তারা খুব সহজে অনলাইন এর মাধ্যমে কাজের ভিসার আবেদন করে সেই দেশে যেতে পারবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই কাজের বিষয়ে আবেদনের পূর্বে আবেদনকারীর বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কেননা প্রত্যেক দেশের এখন দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট থাকলে খুব সহজেই সেই দেশের কাজের ভিসা পাওয়া সম্ভব।

বর্তমান সময় জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ২০২৪ দুটি উপায়ে যাওয়া যায়। প্রথম হচ্ছে সরকারি  উপায়ে এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে বেসরকারি অথবা কোন সংস্থার মাধ্যমে। তবে বরাবরই সাজেস্ট করব সরকারি ভাবে যাওয়ার জন্য। কেননা বেসরকারি মাধ্যমে যেতে যেমন বেশি টাকার খরচ হয় তেমন বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

জার্মানি যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী এবং পরিচ্ছন্ন একটি দেশ। সেহেতু এই দেশে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও যে সমস্ত কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই কাজগুলোর নিচে একটি তালিকা দেওয়া হলো-

  • ইঞ্জিনিয়ার ভিসা
  • ইলেকট্রিশিয়ান ভিসা
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ভিসা
  • ড্রাইভিং ভিসা
  • ক্লিনার ভিসা
  • ফুড ডেলিভারি
  • ওয়েল্ডিং ভিসা
  • কৃষি ভিসা ইত্যাদি।

জার্মানি কাজের ভিসা বেতন কত?

একজন শ্রমিকের সর্বপ্রথম যে বিষয়টি জানা উচিত সেটি হচ্ছে সেই দেশের কাজের চাহিদা রয়েছে কিনা। অথবা সেই দেশে কোন কাজে চাহিদাটা সবচেয়ে বেশি। এবং সেই কাজের বেতন কত টাকা। যদি কোন ব্যক্তি এ সমস্ত তথ্য জানার পর সেই দেশে ভ্রমণ করে তাহলে তার কোন ধরনের আফসোস থাকবে না।

এছাড়া কোন ব্যক্তি বা শ্রমিক যদি বেতন কত টাকা হবে, কোন কাজে চাহিদা বেশি এবং কত টাকা খরচ হবে এই সমস্ত তথ্য না জেনে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।  প্রতিটি মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যায় পরিবারের দায়িত্ব এবং অভাব দূর করতে। সেক্ষেত্রে তার বেতন সম্পর্কে অবশ্যই যারা জরুরী।

কেননা সেখানে কাজ করার পর তার মাসিক কত টাকা আয় হবে এটা তার পরিবারের উপর অনেক অংশে নির্ভর করে। তাই কোন কাজের কত টাকা এ বিষয়ে জানা অবশ্যই জরুরী। নিচে একটু উদাহরণের মাধ্যমে দেখানো হলো জার্মানিতে কোন কাজের কত টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়।

ইঞ্জিনিয়ার ও ইলেকট্রিশিয়ান ভিসা বেতন – ৪,১৫,০০০ টাকা থেকে ৫,৯২,০০০ টাকা পর্যন্ত।

ক্লিনার, ডেলিভারি ও হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন – ২,৯৫,০০০ টাকা থেকে ৩,৫৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।

ড্রাইভিং, ওয়েল্ডিং ও কৃষি কাজের ভিসা বেতন – ১,০০,০০০ টাকা থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

জার্মান সর্বনিম্ন বেতন কত?

উপরের বেতন সম্পর্কিত চাট থেকে এতোটুকু বোঝা যায় যে জার্মানিতে কোন শ্রমিক কাজ করলে বাংলাদেশী টাকায় তাদের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন হবে এক লক্ষ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন রকম বেতন হতে পারে। তবে সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বহিরাগত শ্রমিকদের মাসিক বেতন হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়

শ্রমিক ভিসায় অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার দুটি উপায়ে রয়েছে। প্রথম উপায় হচ্ছে সরকারি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যাওয়া। এটা অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং নিরাপদ মাধ্যম। এই মাধ্যমে যেতে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়।

সরকারি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়।

দ্বিতীয় মাধ্যম হচ্ছে বেসরকারি অথবা কোন কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া। এই পদ্ধতি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তবে দেশের বেকারত্ব সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন বহু সংখ্যক মানুষ সে দেশে এসব বেসরকারি মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে।

বেসরকারি মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

জার্মানি ভিসা প্রসেসিং ২০২৪

কাজের ভিসা অথবা ভ্রমণ ভিসা যেকোনো ধরনের ভিসা জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আবেদনকারীর অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যে সমস্ত শ্রমিকদের বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা জার্মানি কাজের ভিসা আবেদন অনলাইনে করতে পারবে।

ব্যক্তির সঠিক তথ্য দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করলে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কাজের ভিসা পাওয়া যায়। অবশ্যই কাজের ভিসা আপডেট তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়াও ভিসার কার্যক্রম শেষ হলে প্রার্থীকে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।

জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে?

সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়। এছাড়া বেসরকারি অথবা কোন কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে সরকারি মাধ্যমে যাওয়া সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। বেসরকারি মাধ্যমে গেলে নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

জার্মানি ভিসা খরচ

নিজের তালিকা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে প্লেন ভাড়া কত টাকা হতে পারে। এটা শুধুমাত্র স্টুডেন্ট ভিসা অথবা ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কাজের ভিসায় যেতে আরো বেশি টাকা খরচ হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভিসার মূল্য নিচে দেওয়া তথ্য গুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কিন্তু কাজের ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হয়।

যেকোনো দেশের ভিসা প্রাইস চেক করুন এখানে

শ্রমিকদের জার্মানিতে মাসিক খরচ কত?

যে সমস্ত ব্যক্তি কাছের উদ্দেশ্যে জার্মানিতে অবস্থান করে তাদের থাকা খাওয়া বাবদ এক মাসে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে যারা সুন্দরভাবে স্বাচ্ছন্দ মতো থাকতে চায় তাদের ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে যারা  স্বল্প বেতনে চাকরি করে তাদের জন্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে এক মাসের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

জার্মানি ভিসা আবেদন

কিভাবে কাজের ভিসা আবেদন করতে হয়? আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন? কত দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়? এ সমস্ত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হয়। তাই ভিসার আবেদন সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমাদের এই লিংকে ভিজিট করতে পারেন।

শেষ কথাঃ

অনেক মানুষ বিদেশে কাজের ভিসা যেতে ইচ্ছুক কিন্তু তারা জানে না কিভাবে কাজের ভিসার আবেদন করতে হয়? কত টাকা খরচ হয় এবং কোন কাজে চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যার ফলে তারা নানারকম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে যায়। আশা করি কাজের ভিসা আবেদন করার পূর্বে উপরের তথ্যগুলো জেনে আবেদন করলে অনেক সুবিধা পাবেন।

বিশেষ করে এখানে কাজের বিষয় সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তীতে যেকোনো দেশের কাজের ভিসা সম্পর্কে কোন ধরনের তথ্য প্রয়োজন হলে আমাদের ওয়েবসাইট www.visatrick.com ভিজিট করতে পারেন।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles